প্রশাসনিক
মাননীয় সাংসদ

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,বীর উত্তম
সংসদ সদস্য (চাঁদপুর-05)
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩) খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে।
[২] তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ১নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা] রফিকুল ইসলাম ১৯৪৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার নাওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবার নাম আশরাফ উল্লাহ ও মায়ের নাম রহিমা বেগম। তাঁর স্ত্রী রুবি ইসলাম। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। ভাই ছয় বোনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ছিলেন সবার বড়। জন্মস্থান নাওড়া গ্রামেই প্রাথমিক স্কুলের পড়াশোনা শুরু। তবে পিতা সরকারি কর্মকর্তা (স্কুল ইন্সপেক্টর) হওয়ায়, বদলির সুবাদে পরিবারের সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে লেখাপড়া করেন।তিনি। ১৯৫৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা মডেল হাই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশেন ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে রফিকুলইসলাম ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি জড়িত হয়েপড়েন।
[৩] ১৯৬৫ সালে কাকুল মিলিটারী একাডেমী থেকে বিএসসি পাস করেন। ১৯৮১ সালে তিনি আমেরিকার হার্ভাড বিজনেস স্কুলে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম কোর্স সম্পন্ন করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] কর্মজীবন[সম্পাদনা] সাংবাদিকতা[সম্পাদনা] রফিকুল ইসলাম ছাত্রাবস্থায় সাংবাদিকতার হাতেখড়ি পান। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়ে 'ইউপিপি' সংবাদসংস্থায় খন্ডকালিন সাংবাদিকতা করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৯ এপ্রিল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে ইংরেজি দৈনিক 'দি পিপলস ভিউ'র সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
[৪] এছাড়াও বিভিন্ন জার্নাল এবং জাতীয় দৈনিকে সমকালীন বিষয়ে অসংখ্য কলাম লিখেছেন। সামরিক[সম্পাদনা] রফিকুল ইসলাম ১৯৬৩ সালে অফিসার পদে নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান কাকুল মিলিটারি একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন অর্জন করেন। একই সময়ে বিএসসি ডিগ্রি পরীক্ষায় উত্তীর্র্ন হন। ১৯৬৮ সালে লাহোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পূর্ব পাকিস্তানে বদলি হন এবং তৎকালিন যশোর ক্যান্টনমেন্ট রেজিমেন্টের অ্যাডজুট্যান্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কিছুদিন দায়িত্ব পালন শেষে দিনাজপুরে ইপিআরের ৮ নম্বর উইংয়ের অ্যাসিসটেন্ট উইং কমান্ডার পদে বদলি হন। পরে ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের চট্টগ্রাম সেক্টর হেডকোয়ার্টারে অ্যাডজুট্যান্ট পদে নিয়োগ পান। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৯ এপ্রিল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পান। রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা] সামরিক শাসক এরশাদ সরকারের পতন হলে ১৯৯০ সালে দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার (মন্ত্রী পদমর্যাদায়) দায়িত্ব পান।
[৫] তিনি ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল থেকে ২০ মার্চ ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওই সরকারের মন্ত্রী পদমর্যদায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
[৬] ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-৫ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজিগঞ্জ শাহরাস্তি এলাকা থেকে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
[৭] ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মত নির্বাচিত হন এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ ও ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়’ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে অবদান[সম্পাদনা] ১৯৭১ সালে রফিকুল ইসলাম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পদে চট্টগ্রামে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এ অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে প্রেষণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সেনা মোতায়েন পরিস্থিতি দেখে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তিনি স্বাধীনতার প্রয়োজনে বিদ্রোহ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং তদনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তিনি তার অধীনস্থ বাঙালি অফিসার ও সিপাহিদের সাথে আলোচনা করে কর্তব্য স্থির করেন, এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি অফিসারদের সাথে গোপন বৈঠক করে প্রয়োজনে বিদ্রোহের জন্যে উদ্বুদ্ধ করেন। ১৯৭১ এর ২৪শে মার্চ রাতেই ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম কার্যত বিদ্রোহ শুরু করেন। তার আদেশ পেয়ে সীমান্ত ফাঁড়িতে বাঙালি সৈন্যরা অবাঙালি সিপাহিদের নিরস্ত্র ও নিষ্ক্রিয় করে চট্টগ্রামে এসে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগদানের জন্যে প্রস্তুত হয়। এম. আর. চৌধুরী ও মেজর জিয়াউর রহমানের অনুরোধে সেদিন রফিকুল ইসলাম তাদের চট্টগ্রামে আসার নির্দেশ বাতিল করেন। কিন্তু পরদিন ২৫শে মার্চ ১৯৭১ তারিখে সংঘর্ষ প্রায় অনিবার্য অনুধাবন করে ক্যাপ্টেন রফিক সক্রিয় বিদ্রোহ শুরু করেন এবং ইপিআরের
সভাপতির বার্তা

মোহাম্মদ হুমায়ন রশিদ
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শাহরাস্তি, চাঁদপুর জেলা
যুগের চাহিদাকে সামনে রেখে শিক্ষা-সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ পথিকৃত চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজকে আরও সমৃদ্ধ এক মনোরম পরিবেশে যাত্রা শুরু করছে চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। রুপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন ও উন্নত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে যুগোপযোগী, প্রযুক্তি নির্ভর , বিজ্ঞানসম্মত ও মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে আগামীদিনের দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।.
দাতা ও পৃষ্ঠপোষকের বার্তা

ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া
দাতা ও পৃষ্ঠপোষক, কলেজ শাখা
শিক্ষা প্রকৃত মানুষ সৃষ্টি করে। প্রকৃত মানুষ তৈরির জন্য চাই আধুনিক, বিজ্ঞানমুখী বিদ্যায়তন। বর্তমান যুগ তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। সারা বিশ্বেই তথ্য-প্রযুক্তি আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ সরকারও এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অভিন্ন নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ একমত। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপে গড়ার ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ও প্রযুক্তি নির্ভর মানসম্মত শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজকে একটি সর্বাধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এখানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষার আধুনিক ও যুগোপযোগী সকল পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় এবং তা কার্যকর করতে বদ্ধ পরিকর। আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
প্রধান শিক্ষকের বার্তা

মোহাম্মদ নাজির আহমেদ
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ 1919 সালে যাত্রা শুরু করে। এটি গ্রামের মূল কেন্দ্রে অবস্থিত। আমরা একই পথে হেটে যেতে রাজী নই। আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাবোই ইনশাল্লাহ। আমরা সবকিছু আমূল পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর।চেড়িয়ারা স্কুল এন্ড কলেজকে দেশ সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করার স্বপ্ন দেখি। এবং এই স্বপ্ন খুব শীঘ্রই বাস্তবে রূপ লাভ করবে বলে বিশ্বাস করি। আমরা এর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম করতে পুরোপুরি প্রস্তুত। কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা প্রদানে বরাবরই সচেষ্ট। মোহাম্মদ নাজির আহমেদ, চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। 01814102110
ছবি | নাম | পদবী |
---|---|---|
![]() |
মুহাম্মদ হুমায়ন রশিদ | সভাপতি |
![]() |
জহীরুল ইসলাম ভূঁইয়া | দাতা সদস্য |
![]() |
মোহাম্মদ নাজির আহমেদ | সদস্য সচিব |
![]() |
আনোয়ার হোসেন | অভিভাবক সদস্য-১ |
![]() |
মোঃফরিদ উদ্দীন | অভিভাবক সদস্য-২ |
![]() |
মোঃ নুরান্নবী | অভিভাবক সদস্য-৩ |
![]() |
মোঃরেদোয়ান হোসেন সেন্টু | অভিভাবক সদস্য-৪ |
![]() |
মোহাম্মদ খায়রুল আনাম পাটোয়ারী | সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি-১ |
![]() |
এ কে এম মিজানুর রহমান চৌধুরী | সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি-২ |
![]() |
রিক্তা রানী দেব | সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি |
![]() |
বকুল বেগম | সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধি |
![]() |
মো ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া | বিদ্যোৎসাহী সদস্য |
নথি/স্মারক নম্বর | অনুমোদনের তারিখ | অনুমতিপত্র আপলোড | |
---|---|---|---|
কোন তথ্য সংযুক্ত হয়নি। |
নথি/স্মারক নম্বর | অনুমোদনের তারিখ | জাতীয়করণ নম্বর | অনুমতিপত্র আপলোড |
---|---|---|---|
কোন তথ্য সংযুক্ত হয়নি। |